রশিদ নগরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন, সঙ্কটাপন্ন কলেজ পড়ুয়া মেয়ে

প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০১৭ ১০:৫২ , আপডেট: ১১ আগস্ট, ২০১৭ ১০:৫৫

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


গুরুতর অবস্থায় রমিজ আহমদকে হাসপাতালে আনার পরে চিকিৎসাকালের ছবি।

সিবিএন:
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীর রমিজ আহমদ নামক পঞ্চাশেষার্ধ এক ব্যক্তি ছোট ভাই ও ভাতিজাদের হাতে খুন হয়েছে।
এসময় কুপোঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে রমিজ আহমদের মেয়ে রামু ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সেলিনা আক্তার মুন্নি। সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে রামুর রশিদ নগর ইউনিয়নের উল্টাখালী মোরাপাড়া ঘটনাটি ঘটে।
সন্ধ্যায় জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রিপোর্ট লেখাকালে নিহতের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জায়গা জামির বিরোধ থেকে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
নিহতের ভাতিজা মোহাম্মদ রশিদ সিবিএনকে জানান, রমিজ আহমদ সকালে তার চাষাবাদের জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় অপন ছোট ভাই ছব্বির আহমদ তার ছেলে রাশেদুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম (তাজমহল), বেদার মিয়া, ইউছুফ মিয়া, নেজাম উদ্দীন, দিদার মিয়া ‘জমিতে কেন কাজ করছ?’ প্রশ্ন করে অতর্কিতভাবে কুপোঘাত করে। এতে রমিজ উদ্দিন মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, তাজুল ইসলাম (তাজমহল) চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের যুবদলের পূর্ব শাখার সভাপতি। তার নেতৃত্বে খুনের ঘটনাটি ঘটে।
সূত্রে জানা গেছে, আপন সহোদর ছব্বির আহমদ দীর্ঘদিন ধরে রমিজ আহমদের ভিসতভিটা ও জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল। এব বিষয়ে স্থানীয় শালিস ও আদালতের রায় নিহতের পক্ষে রয়েছে। এরপরও থেমে থাকেনি ছব্বির আহমদের ঝগড়াটেমূলক আচরণ। অব্যাহত রাখে হুমকি ধমকী। অবশেষে নিজ ছেলে সন্তানদের নিয়ে নির্মম হত্যার ঘটনাটি ঘটানো হয়। এ সময় বাবাকে প্রকাশ্যে কোপাচ্ছে দেখে সেলিনা আক্তার মুন্নি ঝাপিয়ে পড়লে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
নিহতের ছোট ভাই ফরিদুল আলম জানান, বসতবাড়ি দখলে জের ধরে ভাই রমিজ আহমদকে প্রকাশ্যে দিন-দুপুর কুপিয়ে হত্যা করেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া জানান, ঘটনাটি ঘটেছে রামু থানাধীন রশিদ নগর ইউনিয়ন এলাকায়। তবে নিহত ও হামলাকারীরা কক্সবাজার সদর থানার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের। রামু থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
রামু থানার ওসি লিয়াকত আলী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা পক্রিয়া চলছে বলে জানান।